লকডাউনে মূলধন হারাচ্ছেন দুমকির অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

লকডাউনে  মূলধন হারাচ্ছেন দুমকির অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
মো.এবাদুল হক,দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: দেশব্যাপী কোভিড- ১৯ মহামারি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করার জন্য দেশব্যাপী ১ জুলাই থেকে ১ সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষনা করছে সরকার। বন্ধ দোকানপাট চলছে না গণপরিবহনও ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ নিমজ্জিত হচ্ছে জীবন জীবিকা। কিভাবে নির্বাহ হবে সংসার ও ঋণের কিস্তি। দুমকি উপজেলার অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে গত বছর লকডাউনে যে ক্ষতি তাদের হয়েছে সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতেই কতদিন লাগবে তা জানা নেই তার উপর আবার এবারের লকডাউন কি সাটডাউন।দুমকির অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা ব্যাংক বা সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। কারোর সাপ্তাহিক কিস্তি বা আবার মাসিক কিস্তি। ব্যবসায়ীদের যে কোন মুল্যে এই কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই লকডাউনে বন্ধ থাকায় কেনা-বেঁচা তো দূরে থাক চরম বিপাকে পড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। যে সকল প্রতিষ্ঠান কেনা-বেঁচার উপর নির্ভরশীল সেই সকল প্রতিষ্ঠান গুলি লকডাউনে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানে লগ্নীকৃত অর্থ ভাঙ্গিয়ে জীবন প্রবাহ করতে হচ্ছে এবং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। করোনার প্রার্দুভাবে সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। এ বিষয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সিনেমা হলের দক্ষিন পার্শ্ববর্তী নাসির উদ্দিন (দুলাভাই) জানান লক ডাউনের আগে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকান খোলা রেখে চা-বিস্কুট, পান-সুপারি বিক্রি করে যে লাভ হয় তাই দিয়েই সংসার চালাই, ঋনের কিস্তি আছে কিস্তি দেই। কিন্তু এখন তো লক ডাউনে বাসায় বসে বসে দিন কাটাই কবে আবার খুলতে পারব দোকান। অন্য দিকে কৃষি ব্যাংকের নিচে চা বিক্রেতা বাবুলাল ও রবিন চন্দ্র বলেন দোকান তো বন্ধ বাহিরে যে অন্য কাজ করব তাও বন্ধ বাসায় বন্দী জীবন কাটাই আয়-রোজগার নাই সরকার যদি আমরা যারা ক্ষুদ্রব্যবসায়ী তাদের সহায়তা না করে পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন এভাবে থাকলে হয়ত না খেয়েই মরে যেতে হবে। আমরা ব্যবসায়ীরা আর্থিক সহায়তা চাই। প্রতিনিয়ত মাথার উপর ঋণের বোঝা ভারী হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতি বেশি দিন থাকলে দোকান বন্ধ করে অন্য পন্থাঅবলম্বন করা ছাড়া কোন গতি থাকবে না। এ বিষয়ে দুমকি নতুন বাজার কমিটির সভাপতি ফজলুল হক বলেন- এই লক ডাউনে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ঠিকই তারপরেও এই মহামারী থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সরকারের সিদ্ধান্তগুলি মেনে চলার অভ্যস্থ হতে হবে। এহেন প্ররিস্থিতিতে এ সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের যদি স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কিছুটা উৎজীবিত হবে এবং আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশা করেন।